ব্লগিং করে টাকা আয়ের ৩টি সহজ পদ্ধতি জেনে নিন। - Build a better life.

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Friday, 8 December 2017

ব্লগিং করে টাকা আয়ের ৩টি সহজ পদ্ধতি জেনে নিন।


বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক এগিয়েছে এবং আরও এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। এখন বাংলা
দেশ থেকে অনলাইনে টাকা আয় করা কঠিন্নন কোনো বিষয় নয়। তাই আপনি হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনলাইনে টাকা আয় করবেন। এজন্য হয়তো আপনি ব্লগিং শুরু করতে ইচ্ছুক। কারণ আপনি হয়তো শুনেছেন ব্লগিং করে ভালো টাকা আয় করা যায়। কিন্তু কিভাবে? এগুলোই আমি এই কনটেন্টে তুলে ধরবো। আশা করি আপনিও ব্লগিং করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।

উপায় -১: অ্যাডসেন্স ব্যবহার করা:

 বর্তমানে ব্লগিং করে টাকা আয়ের সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হলো অ্যাড প্রদর্শন করা। আর এ কাজটি সহজ করেছে গুগল অ্যাডসেন্স (Google Adsense)। এটি একটি পার্টনারশিপ সাইট। আর  আপনারা তো জানেন গুগল কেমন বিশ্বস্ত। আপনি একটি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করার পর গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারেন। আপনার আবেদন অ্যাপরুভড (approved) হলে গুগলই আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে  অ্যাড দেখাবে। তবে এখানে কোড কপি ও পেস্ট করার একটি কাজ আছে যা নিয়ে পরে আমি একটি কনটেন্ট লিখবো ইনশাল্লাহ। তবে এভাবে আয় করাটা হলো PPC (পে পার ক্লিক) পদ্ধতি। অর্থাৎ কেউ আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে ঢুকে অ্যাড দেখলেই আপনার টাকা আয় হবে না। কেউ অ্যাড এ ক্লিক করলেই আপনার টাকা আয় হবে। এখন গুগল অ্যাসসেন্স নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা যাক।

  • গুগল অ্যাসসেন্সে প্রতি ক্লিকের জন্য কত টাকা দেয়? 
আপনার ব্লগের কনটেন্ট এক্ষেত্রে প্রধান ভুমিকা রাখে। গুগল অ্যাসসেন্স প্রতি ক্লিকে ০.০৫ থেকে ২০ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে। তবে নতুনদের জন্য তা ০.২০ থেকে ০.৫০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর এজন্যই এভাবে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করা যায়।

  • একটি ব্লগে অ্যাসসেন্স সর্বোচ্চ কতটি অ্যাড দেখায়?
আপনি হয়তো মনে মনে এটি ভাবছেন। তাই জেনে নিন একটি ব্লগে অ্যাসসেন্স সর্বোচ্চ ৩টি অ্যাড দেখায়।

  • কিভাবে টাকা উত্তোলন করবেন?
আপনি দুইভাবে এই টাকা হাতে পেতে পারেন।
. ইমেইল চেকের মাধ্যমে।
. সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

উপায়-২: অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটিং :


ব্লগিং করে অনলাইনে পণ্য বেচা-কেনা করাই হলো সোসাল মার্কেটিং। এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করে মূলত ব্যবসায়ীরা লাভবান হতে পারেন। আপনি যদি কোনো প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে বিক্রি করেন তাহলে এই পদ্ধতিতে ব্লগিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। কিন্তু কিভাবে?

ধরুণ, আপনি একটি ব্লগ তৈরি করেছেন। সেখানে আপনার তৈরিকৃত পণ্য সম্পর্কে রিভিউ লিখে রাখবেন। তারপর সেখানে অনলাইনে ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার নিতে পারবেন। তবে এভাবে সফল হতে হলে অনেক দক্ষতার দরকার। এভাবে সফলতার সাক্ষী রাখে flipkart (ফ্লিপকার্ট)। যেখানে প্রথম দিকে শুধু বই বিক্রি হত। কিন্তু এখন প্রায় যাবতীয় সবকিছুই ফ্লিপকার্টে পাওয়া যায়। আপনিও ধৈর্য্য ধরে চেষ্টা করুন। ইনশাল্লাহ সফলতা আসবেই।

উপায়-৩: লিংক শেয়ার :

 অনলাইনে ইনকাম বাড়াবার জন্য এটি অন্যতম একটি উপায়। এভাবে অনেকেই তাদের অনলাইনে আয়ের পরিমাণ বারিয়েছেন। কিন্তু আপনি হয়তো ভাবছেন কিভাবে তা করা যায়। এখন আমি এটা নিয়েই বলবো।
আপনি হয়তো অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় টাকা আয় করছেন। তবে তার পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু যেখনে আপনি টাকা আয় করেন সেখানে রেফার   করে টাকা আয় বাড়াবার সুযোগ দেয়া আছে। তাহলে আপনি আউটসোর্সিং নিয়ে একটি ব্লগ খুলতে পারেন। যেখানে আপনি আউটসোর্সিং করার উপায় বর্ণনা করে আপনার রেফারেন্স বাড়িয়ে আরও বেশি টাকা আয় করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।

কিছু কথা: আশা করি আপনি এই কনটেন্ট পরে কিভাবে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায় তা নিয়ে সানান্য হয়েও ধারণা পেয়েছেন। তাই ধৈর্য্য নিয়ে ব্লগিং শুরু করে দিন।  ইনশাল্লাহ আপনিও অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন। খোদা হাফেজ।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here